বিজয়নগরে ২৫ লাখ টাকা নিয়েও চুক্তি বাস্তবায়ন না করার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে তিতাস নদী খননের চুক্তি বাস্তবায়ন না করে উল্টো প্রভাবশালী ব্যক্তিকে দিয়ে কাজ করানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। চুক্তি অনুযায়ী ২৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেও কাজ শুরু করতে না পারায় প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাইবা ট্রেডার্স।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের ডাকবাংলো মোড়ে মেসার্স তাইবা ট্রেডার্সের নিজস্ব কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেসার্স তাইবা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ আলী হোসেন অভিযোগ করে বলেন, "ঢাকার মেসার্স ফুরফুরী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিনাল সাহেব পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চান্দুরা-রামপুর পর্যন্ত তিতাস নদী খনন ও বালু উত্তোলনের অনুমতিপত্র দেখান। সেই বৈধ কাগজপত্রের ভিত্তিতে আমার সাথে একটি চুক্তি সম্পাদন করেন।"
তিনি জানান, চুক্তি অনুযায়ী তিনি মেসার্স ফুরফুরী ট্রেডার্সকে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে ২০ লাখ এবং নগদে ৫ লাখসহ মোট ২৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর থেকেই ফুরফুরী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী কাজ শুরু করতে নানা টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।
মোঃ আলী হোসেন আরও বলেন, "হঠাৎ আমি দেখতে পাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন প্রভাবশালী নেতা নুর আলম সিদ্দিকী খননকাজের সরঞ্জাম নিয়ে এসে ওই স্থানে বালু উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই ঘটনায় আমি তাৎক্ষণিকভাবে বিজয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।"
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি জানান, "আমার সাথে করা চুক্তি অনুযায়ী আমাকে যেন নির্বিঘ্নে কাজটি করতে দেওয়া হয় এবং এই প্রতারণার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হয়।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, "এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
What's Your Reaction?






