কুবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা; আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক-প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতার হওয়া আসামি কবিরাজ মো. মোবারক হোসেন ।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিনুল ইসলাম।
তিনি জানান, আজকে আসামি মোবারক হোসেন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যার আগে সেই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে আসামি মোবারক। মূলত, ঝাড়ফুঁক করে তাকে বসে এনে প্রথমে ধর্ষণ করে মোবারক। সুমাইয়ার সাথে হওয়া এই নির্যাতন দেখে ফেলে তার মা। তাই তাকে হত্যা করে মোবারক। এরপর সে বাসা থেকে বেরিয়ে আসে। পরে আবার আসামি সেই বাসায় যায়। তখন ভুক্তভোগী বুঝতে পেরে তাকে বাঁধা দেয় এবং আসামিকে জিজ্ঞেস করতে থাকে সে কেন তার মাকে হত্যা করলো। যখন আসামি বুঝতে পারলো যে সে ধরা পড়ে গেছে তখন সুমাইয়াকেও হত্যা করে।'
ওসি মহিনুল ইসলাম আরও জানান, মময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে কুমিল্লার কালিয়াজুরি এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে কুবি শিক্ষার্থী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন সন্ধ্যায় মোবারক হোসেন নামের একজন কবিরাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি গ্রেফতারকৃত আসামি মোবারক হোসেনই উক্ত হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা।
এদিকে মোবারকের নামে পূর্বেও একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। ২০২৩ সালের ২৪ জুন কুমিল্লা নগরীর ধর্মপুর পশ্চিম চৌমুহনীতে অবস্থিত হযরত খাদিজাতুল কোবরা মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার একটি কক্ষে মোহনা আক্তার মুন্নী নামের ৭ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
What's Your Reaction?






