ভাঙ্গায় একই স্থানে দ্বিতীয় দিনেও ফের দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় টানা দুই দিন ধরে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (২ নভেম্বর) হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে সংঘর্ষের পর সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে একই স্থানে ফের দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে সায়মন মাতুব্বরপক্ষের মিন্টু নামে এক যুবককে প্রতিপক্ষ কুদ্দুস মাতুব্বরের লোকজন মারধর করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর উভয়পক্ষের শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র—ঢাল, শরকি, কালি, কাতরা, টেটা ও ইট নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন এবং অন্তত ২০টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগের দিন, রোববার বিকেলে একই গ্রামের একটি জমি মাপা নিয়ে বৈঠক ডাকা হলে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। বিকেল তিনটা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলা সেই সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জন আহত হন।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তানজীরুল ইসলাম মামুন বলেন, “রোববারের সংঘর্ষের পর সোমবার সকালেও সংঘর্ষে আহত প্রায় ১৫ জন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। কয়েকজনকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন জানান, “গতকালের সংঘর্ষের জের ধরে আজ সকালে ফের দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
এদিকে, সোমবার সকালে ভাঙ্গা পৌরসদরের বাস্তখোলা সদরদী গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সিরাজুল ইসলাম ও মন্নু মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে আরেকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে উত্তেজনা এখনো বিরাজ করছে।
What's Your Reaction?
সরোয়ার হোসেন, ভাঙ্গা প্রতিনিধি, ফরিদপুরঃ