লামার পূর্বচাম্বিতে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে অবৈধ বালু উত্তোলন, প্রশাসনের নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ

বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বি গ্রামে খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। অভিযোগ উঠেছে, কথিত যুবলীগ নেতা ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীকে ম্যানেজ করে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দেদারসে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা বাড়ছে, অন্যদিকে সৃষ্টি হচ্ছে রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্তেজনা।
স্থানীয়রা জানান, পূর্বচাম্বি এলাকার ডলুখাল থেকে প্রতিনিয়ত উত্তোলন করে রাখা হচ্ছে বিশাল বালুর স্তুপ। ইতোমধ্যে সেখানে আনুমানিক ৫০ হাজার ঘনফুট বালু অবৈধভাবে মজুদ করা হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের পেছনে লোহাগাড়ার একদল আওয়ামীপন্থী নেতার হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র দাবি করে, আজিজনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা এই বালু লুটের সিন্ডিকেটের কাছে ‘ম্যানেজ’ হয়ে আছেন। ফলে প্রশাসনের চোখের সামনেই দিনের পর দিন খাল ও ছড়া কেটে পরিবেশ ধ্বংস করে যাচ্ছে এই চক্র।
সাবেক সরকারের শাসনামলে যেভাবে প্রশাসনকে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার বালু লুট হয়েছে, বর্তমানে একই কায়দায় চলছে সেই কর্মকাণ্ড। সময় বদলালেও লুটেরার চরিত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এখনো স্থানীয় কতিপয় পাতি নেতার ছত্রছায়ায় এবং রাজনৈতিক শক্তির জোরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে যেমন এলাকার রাস্তাঘাট বিনষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে লামা ও লোহাগাড়ার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের সম্ভাবনাও বাড়ছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, বালু নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সহিংসতা ঘটতে পারে।
ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ বলেন, “সময় বদলালেও সেই পুরনো সিন্ডিকেটই এখনো সক্রিয়। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে সরকারি সম্পদ লুটে নিচ্ছে তারা। আমরা এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত ও ব্যবস্থা চাই।”
এদিকে, লোহাগাড়া যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের এত দাপটের উৎস কী—তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন সচেতন মহল। তার বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা না নেয়া এবং প্রশাসনের নিরব ভূমিকাকে কেন্দ্র করে পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
What's Your Reaction?






