নামেই ৫০ শয্যার হাসপাতাল, ভিতরে ডাক্তার-নার্স শূন্য

বান্দরবানের দুর্গম থানচি উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নামেই ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কিন্তু ডাক্তার-নার্স ও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে ধুঁকছে প্রতিষ্ঠানটি, আর দীর্ঘ দিন ধরে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
এই চরম জনদুর্ভোগ নিরসনে এবার সরাসরি মাঠে নেমেছে স্থানীয় রাজনৈতিক সংগঠন ‘গণসংহতি আন্দোলন’। সোমবার (৪ আগস্ট) সংগঠনটির পক্ষ থেকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাইয়ের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়ে দ্রুততম সময়ে এই সংকট সমাধানের দাবি জানানো হয়েছে। জবাবে চেয়ারম্যানও বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে থানচি কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করা স্মারকলিপিতে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করা হয়। গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী মংসাই মারমা ও নির্বাহী সমন্বয়কারী সিনয়া স্রো স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, "পরিষদ গঠনের আট মাস পেরিয়ে গেলেও স্বাস্থ্যসেবার মতো একটি মৌলিক অধিকারে কোনো উন্নতি হয়নি। অতীব পরিতাপের বিষয় যে, পরিষদের ন্যাস্ত বিভাগগুলো বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মতই নাগরিক সেবা প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছে, ফলে জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত।" তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো জরুরি ভিত্তিতে থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থায়ী ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ এবং গ্রামীণ এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম নিয়মিত ও সক্রিয় করা।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই আন্দোলনকারীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "আপনাদের দাবিগুলো সম্পূর্ণ জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট এবং যৌক্তিক। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, শিগগিরই এই বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি চাহিদাপত্র পাঠানো হবে এবং জনবল সংকট নিরসনে যথাযথ ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
চেয়ারম্যানের এই আশ্বাসের পর থানচিবাসী এখন তাকিয়ে আছে, কবে তাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সত্যিকার অর্থে পূর্ণাঙ্গ সেবা দিতে পারবে এবং তাদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হবে।
What's Your Reaction?






