সদরপুরে জমি দখল ও স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে সাবেক মেম্বারের সংবাদ সম্মেলন

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের মধুমন্ডলের ডাঙ্গী গ্রামে জমি দখল ও ঘরবাড়ি নির্মাণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য পলাশ চন্দ্র মন্ডল। সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৫টায় তার নিজ বাড়িতে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীসহ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
পলাশ মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, তার প্রতিবেশী হাসান প্রামানিক গোরস্থান, সুফফা ও আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার নামে বিভিন্ন সময় অন্যের জমিতে সাইনবোর্ড বসিয়ে সরকারি অনুদান নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি দাবি করেন, ৮২ শতক পৈত্রিক জমির মধ্যে হাসান প্রামানিক মাত্র ২০.৫০ শতক ক্রয় করলেও পেশিশক্তির জোরে পুরো জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করছেন।
তিনি আরও জানান, এ নিয়ে একাধিকবার বিচার-সালিশ হলেও হাসান প্রামানিক তা মানেননি। বরং মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে আসছেন। স্থানীয় ইউএনও’র নির্দেশে বেসরকারি আমিন, সরকারি সার্ভেয়ার, তহশিলদার ও পুলিশের উপস্থিতিতে জমির সীমানা নির্ধারণ করে খুঁটি বসানো হয়। পরে দখল ব্যর্থ হয়ে হাসান প্রামানিক ইউএনও’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দেন এবং হলুদ সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভাষানচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা মো. মাঈনুদ্দিন আহম্মেদ অভিযোগ করেন, হাসান প্রামানিক অতীতে সুফফা এতিমখানা ও আয়েশা সিদ্দিকা এতিমখানার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সংখ্যালঘুদের জমি দখলের চেষ্টা করেছেন এবং একটি মহলকে সাথে নিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।
সদরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম পান্নুও অভিযোগ করেন, হাসান প্রামানিক দখলকৃত জমি নিয়ে একাধিকবার শালিশ হলেও তা মানেননি এবং ইউএনও’র বিরুদ্ধে বিশেষ মহলের প্ররোচনায় অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে হাসান প্রামানিকের দখলবাজি ও হয়রানি থেকে মুক্তি চেয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসের দাবি জানান।
এ বিষয়ে হাসান প্রামানিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমিটি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি এবং দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করছেন। মাদ্রাসার অনুদান আত্মসাতের অভিযোগও তিনি নাকচ করেন।
What's Your Reaction?






