গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও পরবর্তীতে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যার পর জারি করা হয়েছে কারফিউ।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ জনগণকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন। শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জে অবস্থান করছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির বিশেষ ইউনিট। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গঠন করা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
এ বিষয়ে সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন - “গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে সাধারণ জনগণ কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রা*সীদের *** ভেঙে দেয়া হবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সবকিছু মনিটরিং করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা।”
বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জে পদযাত্রায় অংশ নিয়ে ফেরার পথে এনসিপি কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ ওঠে।
হামলার ঘটনার পরপরই শহরের পৌরপার্ক এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
শহরজুড়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নেয়।
হামলার প্রতিবাদে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
What's Your Reaction?






