আখাউড়ায় রেল প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ

বাংলাদেশ রেলওয়ের আখাউড়া ইউনিটে কর্মরত ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (আইডব্লিউ) মিথুন কুমার দাস-এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, সরকারি স্থাপনা অবৈধ দখল এবং প্রকল্পে দুর্নীতিসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ও রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যোগদানের পর থেকে প্রকৌশলী মিথুন কুমার দাস নিজের বরাদ্দকৃত কোয়ার্টারে না থেকে তিতাস সেতু প্রকল্পের আওতাধীন একটি ভারতীয় ভবনে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। সেখানে এসি ও বিদ্যুৎ সুবিধা নিলেও তিনি কোনো বিল পরিশোধ করছেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, সরকারি কোয়ার্টার ভাড়া দিয়ে অর্থ আদায়, ব্যক্তিগত গাড়ি রেন্ট-এ-কার সার্ভিসে চালানো, রেলওয়ের জমিতে দোকান ও বাসা ভাড়া দেওয়া, এমনকি কিছু কোয়ার্টারে মাদক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আবাসনের সুযোগ করে দেওয়া।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, রেল কলোনির বাসা নম্বর ই-২৫ (গ)-এর বরাদ্দ অগ্রাহ্য করে বহিরাগত এক ব্যক্তিকে মাসিক চার হাজার টাকায় ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে অটোরিকশা চার্জ দেওয়ার ব্যবসা চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
রেলসেতু ও গেটসংক্রান্ত প্রকল্পেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ১৭ নম্বর রেলসেতুর নিম্নমানের নির্মাণ কাজ এবং কিছু গেটে ওয়াশরুম ও টিউবওয়েল স্থাপন না করেই অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও বাইপাস এলাকার সরকারি জমিতে ভাঙারি দোকান এবং আজমপুর রেলস্টেশনসংলগ্ন জমি ব্যক্তিগত স্বার্থে ভাড়া দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে প্রকৌশলীর অফিসে কর্মরত কয়েকজন সহায়তা করছেন বলেও জানা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে মিথুন কুমার দাস বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন।”
আখাউড়া রেলওয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
What's Your Reaction?






