নাসিরনগরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৭২ বস্তা চাল উদ্ধার, দুই শ্রমিকের কারাদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অবৈধভাবে মজুদ করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৭২ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পরিচালিত এক অভিযানে এই চাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাহ কামাল (৩৮) ও জুয়েল মিয়া (৪০) নামে দুই শ্রমিককে আটক করে প্রত্যেককে তিন দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা নাছরিনের নেতৃত্বে উপজেলা সদর বাজারের গৌর মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মোতাহারের দোকান থেকে ১৫০ বস্তা এবং রহমত আলীর দোকান থেকে ২২ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। চালের বস্তা ছাড়াও দোকান দুটি থেকে ১৫০টি খালি বস্তা, একটি ওজন মাপার যন্ত্র এবং একটি বস্তা সেলাইয়ের যন্ত্র জব্দ করা হয়েছে। অভিযানের পর দোকানের মালিক মোতাহার মিয়া ও রহমত আলী পলাতক রয়েছেন।
আটককৃত শ্রমিক শাহ কামাল ও জুয়েল মিয়ার বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার আশুরাইল গ্রামে। রাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের প্রত্যেককে তিন দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযানকালে উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, "আমাদের গুদাম থেকে নিয়মিত ডিলাররা চাল নিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের মাধ্যমে উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। কীভাবে এসব সরকারি বস্তা দোকানে এলো, তা দোকানদার ও সংশ্লিষ্ট ডিলাররা ভালো বলতে পারবেন।"
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আবুল হোসেন এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, "আমি এখনই কিছু বলতে পারছি না। অফিসে এসে বিস্তারিত জানাতে পারবো।"
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরিন জানান, পাচারের উদ্দেশ্যে সরকারি চালগুলো অবৈধভাবে মজুদ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, "গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সরকারি সিলমোহরযুক্ত বস্তাসহ চাল এবং ১৫০টি খালি বস্তা জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত চাল আমাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।"
What's Your Reaction?






