দুই হত্যা মামলার আসামি এবার নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দুটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ছগির আকন (৪৬) ফের নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। সাংবাদিক কন্যা উর্মি (১০) এবং তন্বী আক্তার (২৩) হত্যা মামলার এই আসামি দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি বিশেষ দল পিরোজপুর-হুলারহাট সড়কের মাছিমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ছগির মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের মৃত কুদ্দুস আকনের ছেলে।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছগির উর্মি হত্যা মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি মঠবাড়িয়া উপজেলার করিম আকন বাজারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর স্থানীয় কার্যালয় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত একটি নাশকতা মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। গত ২৫ আগস্ট স্থানীয় বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন, যেখানে ছগিরকে ২৮ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, দুটি হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকলেও এলাকাবাসীর ভয়ে ও লোকনিন্দার কারণে ছগির তার ভগ্নিপতির বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেলের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা ঊর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে একটি পরিত্যক্ত বাগানের নালায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ছগিরের বিরুদ্ধে। ঘটনার তিনদিন পর পুলিশ ঊর্মির অর্ধগলিত ভাসমান লাশ উদ্ধার করে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ২০২২ সালে তন্বী আক্তার নামের আরেক युवतीকে গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ বাগানে ফেলে রাখার ঘটনায়ও তার নাম জড়ায়। দুটি মামলাতেই ছগির আকন চার্জশিটভুক্ত আসামি এবং মামলা দুটি বর্তমানে পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।
গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা মো: খায়রুল হাসান জানান, "মঠবাড়িয়া থানায় দায়ের করা নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হওয়ায় ছগির দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। একটি হত্যা মামলায় হাজিরা দিয়ে সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"
What's Your Reaction?






