শ্রীনগরে ঝাড়ফুঁকের আড়ালে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা

ঝাড়ফুঁকের নামে এ কোন সর্বনাশ! যেখানে পাওয়ার কথা ছিল নিরাপদ আশ্রয় ও আধ্যাত্মিক আরোগ্য, সেখানেই এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন খোদ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক—এমনই এক পাশবিক অভিযোগ উঠেছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মুফতি মোহাম্মদ তকীউর রহমান সিদ্দিককে (৪৫) আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বালাশুর এলাকায় জামিয়া উম্মুল ক্বোরা মহিলা মাদ্রাসায় এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার ১৪ বছর বয়সী ওই ছাত্রী কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিল। আরোগ্য লাভের আশায় সে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মুফতি তকীউর রহমানের কাছে ঝাড়ফুঁকের জন্য যায়। অভিযোগ উঠেছে, এসময় ওই শিক্ষক কক্ষের নিরিবিলি পরিবেশের সুযোগ নিয়ে শিশুটির শরীরে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করেন এবং এক পর্যায়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
ছাত্রীটি কোনোভাবে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে ঘটনাটি জানালে মুহূর্তের মধ্যে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাদ্রাসায় ছুটে গিয়ে অভিযুক্ত মুফতি তকীউর রহমানকে আটক করে এবং গণপিটুনি দেয়। এতে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে শ্রীনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ভুক্তভোগী শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে এবং গণপিটুনিতে আহত শিক্ষককে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান বলেন, "ঘটনাটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।"
What's Your Reaction?






