লামায় জায়গা দখলে ব্যর্থ হয়ে বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ

লামা-আলীকদম সড়কের লাইনঝিরি মোড়ে জায়গা দখলের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে বিজিবির সদস্যকে জড়িয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলার অভিযোগ উঠেছে এক নারী ও তার রাজনৈতিক প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত আয়েশা আক্তার ও তার ছেলেরা বারবার সরকারি বাহিনীর সদস্য ও প্রতিবেশীদের হয়রানি করছে।
জানা যায়, লাইনঝিরি এলাকার মরহুম রুস্তম আলীর ওয়ারিশদের জায়গা দীর্ঘদিন ধরে তারা দখলে রেখেছে। জায়গাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাইড ওয়ালের পাশে অবস্থিত প্রায় দুই শতাংশ ভূমি। ১৯৮০-এর দশকে সেনাবাহিনী ওই এলাকায় রাস্তা নির্মাণ করে, যেখানে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে ওয়ারিশরা ওই জায়গায় বসবাস শুরু করে।
তবে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের বাসিন্দা আয়েশা আক্তার বারবার তার ছেলেদের নিয়ে এই জায়গা দখল করতে চাচ্ছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির ছত্রছায়ায় থেকে, নিজের প্রভাব খাটিয়ে ওই জমি জোর করে নিতে চান। এমনকি বিজিবি সদস্য আনোয়ার, যিনি রুস্তম আলীর নাতি, তাকেও একাধিক মামলায় অভিযুক্ত করে হয়রানি করা হচ্ছে।
গত ২২ জুন লামা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আয়েশা আক্তার নতুন একটি মামলা করেন, যার প্রধান আসামি করা হয়েছে বিজিবির সদস্য আনোয়ারকে। এর আগেও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা একটি পিটিশন মামলার তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
লামা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক প্রস্তুত প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “সরেজমিনে পরিমাপ ও তদন্তে দেখা গেছে, আয়েশা আক্তারের দাবিকৃত জমি তাঁর হোল্ডিংয়ের আওতায় পড়ে না। উক্ত জমি ৩২৪৩ নং দাগভুক্ত এবং বিবাদী পক্ষের রেকর্ডকৃত আর/৩১২ হোল্ডিংয়ের অংশ।”
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মরহুম রুস্তম আলীর জীবদ্দশায় উক্ত জমি মোহাম্মদ ইউছুফের নিকট ভাড়া দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে দলিলের মাধ্যমে বিক্রিও করেন। বর্তমানে সেই জমির দখলে রয়েছেন ইউছুফ, যিনি আয়েশা আক্তারের আত্মীয় হলেও জমির মালিকানা প্রশ্নে বিরোধে জড়িয়েছেন।
স্থানীয়রা বলেন, “আয়েশা আক্তার ও তাঁর ছেলে-পুত্ররা রাজনৈতিক পরিচয়ে দাপট দেখিয়ে একের পর এক মানুষকে হেনস্থা করছেন। তারা এলাকার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন।”
রুস্তম আলীর পরিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করে বলেন, “আমরা একজন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির বিচার চাই। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এভাবে ব্যক্তিগত জমি দখলের চেষ্টা বরদাস্ত করা যায় না।”
What's Your Reaction?






