ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজি ধর্মঘট, তিন ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ ও লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির প্রতিবাদে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকরা দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবার (২৮ জুলাই) অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন।
সকাল ৯টা থেকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। এতে প্রায় তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে এবং মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে নারী, শিশু ও রোগীসহ হাজারো যাত্রী সীমাহীন ভোগান্তির মুখে পড়েন।
ধর্মঘটের অংশ হিসেবে সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাও চলতে না দেওয়ার উদ্যোগ নেয় শ্রমিকরা। তারা বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে যানবাহনের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেন।
বেলা ১২টার দিকে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও ধর্মঘট চলমান রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের তিন দফা দাবি—জব্দকৃত সব অটোরিকশা ছেড়ে দেওয়া, পারমিট অনুযায়ী জেলার সর্বত্র অবাধ চলাচলের নিশ্চয়তা এবং ট্রাফিক বিভাগের হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. স্বপন মিয়া বলেন, “আমাদের তিন দফা দাবি আদায়ে এই কর্মসূচি চলছে। প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা আপাতত মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছি। তবে দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, “মালিক-শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি রয়েছে। এসব নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, টানা ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু, নারী ও রোগীদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তারা দ্রুত সমস্যার সমাধান দাবি করেছেন।
What's Your Reaction?






