আখাউড়ায় কৃষকদল নেতার সংবাদ সম্মেলন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর কৃষক দলের সদস্য সচিব মোঃ রিপন মিয়াজী সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার বিরুদ্ধে হওয়া অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে পৌর এলাকার রাধানগর কলেজপাড়ার বাধন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফেসবুকের পোস্ট ডিলিট করতে পোস্টকারীদেরকে আল্টিমেটাম দেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিপন মিয়াজীর ভাই সোহেল রানা মিহিন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় তিনি জানান, তার ভাই একজন ব্যবসায়ী। অথচ তার ভাইয়ের মালদারপাড়ার বাসা থেকে বিজিবি ভারতীয় কাপড় উদ্ধার করেছে বলে অপপ্রচার চালানো হয়। অথচ মালদারপাড়াতে তার কোনো বাড়ি নেই।
রিপন মিয়াজী অভিযোগ করেন, তিনি আওয়ামী লীগ করতেন বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে, যা ডাহা মিথ্যা। মূলত তিনি পছন্দের দল বিএনপিতে একটি ভালো পদবী পাওয়ায় দলেরই অনেকে ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। দলের মধ্যে একাধিক পক্ষ আছে বলে তিনি দাবি করেন।
রিপন মিয়াজী বলেন, আমি আখাউড়া পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী রাধানগর হাজি মহল্লার একজন শান্তিপ্রিয় বাসিন্দা। সুনামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমি পৌর শহরের সড়ক বাজারে নিজের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। পাশাপাশি আখাউড়া পৌর কৃষক দলের সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। রাজনৈতিক পদ-পদবী পাওয়ার পর থেকেই একটি মহল সম্প্রতি তাদের রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করার জন্য আমার পিছনে উঠে পড়ে লেগেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কয়েকটি ফেক আইডিসহ অন্যান্য আইডি থেকে আমাকে জড়িয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন অপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর বটে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি আখাউড়া পৌরসভার মালদারপাড়া এলাকায় ২৫ বিজিবি সদদস্যরা বিপুল পরিমান ভারতীয় পোশাক জব্দ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ফেসবুকের বিভিন্ন আইডিতে লেখা হয়েছে আমার বাড়ি মালদারপাড়া, আমার ঘর থেকে এই অবৈধ পোশাক জব্দ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক। মূলত আমার বাড়ি রাধানগর হাজি মহল্লায়। মালদার পাড়ায় আমার কোন বাড়ি-ঘর নেই। এমন কি আত্মীয়-স্বজন পর্যন্ত নেই। শুধু মাত্র আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সম্মানহানি করতে ও ব্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এই মহলটি ফেসবুক আইডিতে অপপ্রচার করছে। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই, কখনো ছিলাম না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এইসব মিথ্যা তথ্য ফেসবুক পোষ্ট থেকে সরিয়ে না নিলে এবং ক্ষমা না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।
What's Your Reaction?
জান্নাত আক্তার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রতিনিধি