আলফাডাঙ্গায় মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ফরিদপুর জেলা শ্রমিক দলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি মোজাফফর আলী মুসার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর শ্রমিক দলের নেতারা।
সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় পৌর এলাকার কলেজ রোডস্থ আলফাডাঙ্গা শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এস এম মাহমুদুল আহসান ইয়াদ।
তিনি বলেন, ২০১০ সালে তিন বছরের জন্য জেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠিত হয়। এতে মোজাফফর আলী মুসা সভাপতি ও ওলিয়ার রহমান সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁরা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে পড়েন।
২০১১ সালে মোজাফফর আলী মুসার ভাই শেখ মাহতাব আলী মেথু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাথে যুক্ত হয়ে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই মোজাফফর আলী মুসা তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে মিলে শ্রমিক দলকে নিষ্ক্রিয় করতে তৎপর হন।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তাঁরা প্রকাশ্যে সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এক জনসভায় আওয়ামী লীগে যোগ দেন বলে দাবি করেন ইয়াদ। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, মোজাফফর আলী মুসা এখনও শ্রমিক দলের সভাপতির পরিচয়ে বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভায় ‘পকেট কমিটি’ গঠন করে যাচ্ছেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি কায়েম সিকদার, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মকিনুর সিকদার, পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোজাফফর আলী মুসার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ফরিদপুর জেলা শ্রমিক দলের বর্তমান সভাপতি সামসুল হক সরদার ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মানা বলেন, ২০১০ সালের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এবং ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগে যোগদানের পর থেকে তাঁরাই দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
তাঁরা জানান, বিষয়টি জেলা, নগর ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে এবং তাঁদের নির্দেশনায় সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে।
তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মোজাফফর আলী মুসা আবারও শ্রমিক দলের সভাপতি পরিচয়ে অবৈধভাবে সংগঠনের কার্যক্রম শুরু করেছেন। কোনো সভা-সম্মেলন ছাড়াই পুরনো তারিখে অর্থের বিনিময়ে কমিটি গঠন করে যাচ্ছেন, যা দলীয় গঠনতন্ত্রবহির্ভূত এবং ভুয়া বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।
What's Your Reaction?






