দফায় দফায় বৈঠক, ষড়যন্ত্রের গুঞ্জন নাকি সমাধানের পথে বাংলাদেশ?

বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে একদিকে চলছে দফায় দফায় বৈঠক, অন্যদিকে পর্দার আড়ালে গভীর ষড়যন্ত্রের গুঞ্জনও তীব্র হচ্ছে। একদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আলোচনার উদ্যোগ, অন্যদিকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুই প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বৈঠক – এই দ্বিমুখী পরিস্থিতিতে দেশের ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোচ্ছে, তা নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে ব্যাপক কৌতূহল ও উদ্বেগ।
রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধি দল। চলমান রাজনৈতিক সংকট ও আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবেই এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল থেকে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে ড. ইউনূস চলমান অচলাবস্থা নিরসনের চেষ্টা করছেন।
একই সময়ে, রাজধানীর গুলশানে দেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। কোনো প্রকাশ্য এজেন্ডা ছাড়া এই বৈঠকটি ২০০৭ সালের ১/১১-এর মতো কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা। সচেতন মহল মনে করছেন, লোকচক্ষুর আড়ালে এমন কিছু ঘটছে যা দেশের জন্য একটি ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।
উল্লেখ্য, মাত্র দুদিন আগে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ হামলার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজপথে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নেটিজেনদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করছেন যে, ২০০৭ সালের ১/১১-এর মতোই একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলছে এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের এই বৈঠক সেই গুঞ্জনকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
তবে চলমান উদ্বেগ ও ষড়যন্ত্রের গুঞ্জনের মধ্যেও দেশের সাধারণ মানুষ একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধানের প্রত্যাশা করছেন। সকলের আশা, আলোচনার মাধ্যমেই দেশ সংকট থেকে বেরিয়ে আসবে এবং একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে।
What's Your Reaction?






