কুবিতে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রদলের একাংশের হামলা

আলী আকবর শুভ, কুবি প্রতিনিধি, কুমিল্লাঃ
May 29, 2025 - 12:23
 0  4
কুবিতে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রদলের একাংশের হামলা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রদলের একাংশ। বুধবার (২৮ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কনসার্ট চলাকালে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে "সাংবাদিকদের আগে মার" স্লোগান দিয়ে হামলা চালায় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভর অনুসারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, রাত ১১টার দিকে মার্কেটিং বিভাগ ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে জড়িত সাদেক সরকার ও সাখাওয়াত অরণ্যকে পাশেই সরিয়ে নেন শুভ। তখন দৈনিক সংবাদ-এর প্রতিনিধি চৌধুরী মাছাবিহ্ ও কালবেলা-র প্রতিনিধি আবু শামা প্রশ্ন করলে শুভ ক্ষিপ্ত হয়ে আবু শামাকে ধাক্কা দেন।

এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে ছাত্রদল নেতা সাফায়েত সজল বাধা দেন এবং শুভর নির্দেশে ছাত্রদলের ২০-২৫ জন কর্মী সাংবাদিকদের ওপর একযোগে হামলা চালান। হামলাকারীদের মধ্যে ছিলেন বাংলা বিভাগের সাইফুল মালেক আকাশ, ইংরেজি বিভাগের জহিরুল ইসলাম জয়, মার্কেটিং বিভাগের তাওহিদ রহমান সাকিব ও তাজওয়ার তাজ।

হামলায় আহত হন চৌধুরী মাছাবিহ্ (দৈনিক সংবাদ) ও আকাশ আল মামুন (দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস)। ভিডিও ফুটেজ নিতে গেলে মাছাবিহ্-র মোবাইল ছুঁড়ে মারেন আকাশ। হামলায় তাঁর মোবাইলের ডিসপ্লে ভেঙে যায়। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

চৌধুরী মাছাবিহ্ বলেন, “আমি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ভিডিও করছিলাম। শুভ তা বন্ধ করতে বলেন। এরপর তাঁর কর্মী আকাশ ধাক্কা দিয়ে মোবাইল ফেলে দেন।”

আবু শামা বলেন, “আমি শুভকে প্রশ্ন করলে তিনি ধাক্কা দেন। তাঁর কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে হামলা করে।”

অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন, “পেছনে মারামারি হচ্ছিল। সামনে আমরা ছিলাম। শিক্ষকরা বিষয়টি দেখতে বলেন বলে হামলায় জড়িতদের সাময়িকভাবে পাশে রাখা হয়।” তবে তিনি দাবি করেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার নির্দেশ দেননি। “যদি কেউ হামলা করে থাকে, সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

কমিটির আহ্বায়ক ড. শরীফুল করিম বলেন, “সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি কাউকে দায়িত্ব দেইনি।”
প্রক্টর আবদুল হাকিম জানান, “বিষয়টি নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এ ঘটনায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow