তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে লামায় কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশংসা
বান্দরবানের লামা উপজেলায় তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে এবং কৃষি কর্মকর্তাদের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন তারা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রদর্শনীভুক্ত কৃষকদের হাতে এসব উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি অঞ্চলের মনিটরিং অফিসার কামরুন মোয়াজ্জেমা, লামা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান সোহেল, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সাকিলা আক্তার ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে লামা উপজেলার প্রদর্শনীভুক্ত কৃষকদের প্রত্যেককে ১.৫ কেজি সরিষা বীজ, ১০০ কেজি জৈব সার, ১১২ কেজি রাসায়নিক সার, বালাইনাশক, ড্রাম, চালুনি ও সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে।
লামা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান সোহেল বলেন, “সরিষা আবাদ বাড়ানোর মাধ্যমে দেশে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করাই আমাদের লক্ষ্য। সেই উদ্দেশ্যে লামায় ১৩ জন কৃষককে বিনামূল্যে সরিষা বীজসহ সব উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। সরিষা আবাদ শেষে বোরো ও আমন ধান চাষেও সহযোগিতা করা হবে। তিন মৌসুমে প্যাটার্নভিত্তিক কৃষি উৎপাদন বাড়াতে আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করছি।”
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মনিটরিং অফিসার কামরুন মোয়াজ্জেমা বলেন, “দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদার বড় অংশই আমদানিনির্ভর। এই নির্ভরতা কমাতে সরকার তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দুই ফসলের জমিকে তিন ফসলের এবং তিন ফসলের জমিকে চার ফসলের জমিতে রূপান্তর করাই এ প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় মাঠপর্যায়ে আমরা কৃষকদের পাশে থেকে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছি।”
কৃষকরা জানান, সরকার ও কৃষি বিভাগের এমন উদ্যোগ তাদের চাষাবাদে নতুন আশার আলো জুগিয়েছে। সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতা পেলে তারা ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণে সরিষাসহ তেলজাতীয় ফসলের আবাদে আগ্রহী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
What's Your Reaction?
অনুপম মারমা, স্টাফ রিপোর্টারঃ