বাঞ্ছারামপুরে বিএনপি নেতাকে হাত-পা বেঁধে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ

মাহমুদুল হাসান, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
Oct 22, 2025 - 20:49
Oct 22, 2025 - 20:50
 0  3
বাঞ্ছারামপুরে বিএনপি নেতাকে হাত-পা বেঁধে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালাইনগর গ্রামে হাত-পা বেঁধে এক বিএনপি নেতাকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জসীম মাস্টার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে জাকির হোসেন নদীতে মাছ ধরতে গেলে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা জসীম মাস্টার ও তার দলীয় লোকজন তাকে আটক করে বেধড়ক মারধর করে। পরে তার হাত, পা ও মুখ বেঁধে কালাইনগর কবরস্থানের ভেতরে ফেলে রেখে যায়।

গভীর রাতে জাকির হোসেনের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, জাকির হোসেন এলাকার একজন সাধারণ ব্যবসায়ী। সম্প্রতি নদীতে মাছ ধরার ঘের দখল নিয়ে তার সঙ্গে জসীম মাস্টারের বিরোধ দেখা দেয়। অভিযোগ রয়েছে, জসীম মাস্টার দীর্ঘদিন ধরে নদীর অংশ দখল করে মাছের ঘের পরিচালনা করে আসছেন, এতে সাধারণ জেলেরা বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এই বিরোধের জের ধরেই হামলার ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বুধবার দুপুরে নির্যাতিত জাকির হোসেনের পুত্রবধূ আরজিনা আক্তার বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে শাহ রাহাত আলী হাইস্কুলের শিক্ষক জসীম মাস্টারকে প্রধান আসামি করে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগ নিয়ে জসীম মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি একেএম মুছা বলেন, “এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমাদের দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত বিচার ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।”

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাসান জামিল খান বলেন, “ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow