ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই ১৭ দোকান

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৭টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া দশটার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বোয়ালমারী ও মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এবং এলাকাবাসীর প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বাজারের বাচ্চু মোল্লার মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন দ্রুত পার্শ্ববর্তী বাচ্চু মার্কেট, আজিজ মোল্যা মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মুদি, ঔষধ, কাপড়ের দোকান, টেইলার্স, বীজ ও কীটনাশকের দোকান, জুতার দোকান এবং হোটেলসহ অন্তত ১৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়ে যায়। বাজারের দোকানপাট বন্ধ থাকায় প্রথমে কেউ বিষয়টি খেয়াল করতে পারেনি। পরে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
এদিকে, আগুন লাগার প্রায় এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে অভিযোগ করেছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, ফায়ার সার্ভিস দ্রুত এলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমানো যেত।
বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান আব্দুল খালেক জানান, তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে দুটি ইউনিট একসাথে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। একজন ঔষধ ব্যবসায়ী জানান, তার দোকানে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ঔষধসহ সাড়ে পাঁচ লক্ষ নগদ টাকা ছিল, যার সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও (ইউএনও) ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন বলে জানা গেছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে তদন্ত চলছে।
What's Your Reaction?






