ভাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুল শিক্ষিকার মর্মান্তিক মৃত্যু, আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা?

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে শামিমা আক্তার (আঙ্গুরী) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা—এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন ও বিভ্রান্তি। তবে স্থানীয় একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহত শামিমা আক্তার উপজেলার শারসাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি একই গ্রামের সাত্তার শিকদারের কন্যা এবং ভাঙ্গা পোস্ট অফিসের কর্মচারী আশরাফ শেখের স্ত্রী।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে, বালিয়াচরা ও শারসাকান্দি বিদ্যালয়ের সংলগ্ন রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে। খুলনা থেকে ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে শামিমা ও তার স্বামীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে তাদের মধ্যে কলহ চরমে ওঠে, যার জেরে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন— “প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষিকা এরই জেরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আমরা রেল পুলিশকে অবহিত করেছি, তারা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
ভাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ সামচুল হক মাতুব্বর শিক্ষিকার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
What's Your Reaction?






