পিরোজপুরে নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শাহিদা বেগমের বিরুদ্ধে। উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের গদারহাওলা ওয়ার্ড থেকে একাধিক ভুক্তভোগী এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।
ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগে জানান, গত বছর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নতুন অর্থবছরের ভিজিডি কার্ড পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে শাহিদা বেগম পাঁচজনের কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা আদায় করেন। একইভাবে প্রতিবন্ধী কার্ড, মাতৃত্বকালীন ভাতা, মৎস্য কার্ড, টিসিবি কার্ড, পানির ট্যাংকি বরাদ্দের কথা বলে বিভিন্নজনের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নিয়েছেন তিনি।
অভিযোগে আরও জানা যায়, এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ পাওয়া রাস্তার ইট সলিং কাজে শাহিদা বেগম স্থানীয়দের কাছ থেকে ‘অফিস খরচ’ দেখিয়ে ২০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেছেন। অথচ কোন কোন রাস্তার কাজ এখনো শুরুই হয়নি, আবার কিছু জায়গায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
ভুক্তভোগী নাদিরা বেগমের স্বামী সজীব শেখ বলেন, “মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ড করাতে ৭ হাজার টাকা দিয়েছি। পরে কার্ড হয়েছে ঠিকই, কিন্তু টাকা ফেরত দেয়নি।”
আরেক ভুক্তভোগী মজিবুর রহমানের ছেলে অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের বাড়ির রাস্তার কাজ করাতে ৪ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখনো কাজ শুরু হয়নি।”
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য শাহিদা বেগম বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাকে ছোট করতেই এই নাটক সাজানো হয়েছে।”
এ বিষয়ে পাড়েরহাট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক হাওলাদার জানান, “অভিযোগ পাওয়ার পর শাহিদা বেগমকে ডেকে সমাধানের কথা বলেছি। কিন্তু এখনও কারো টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি।”
ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বীন মুহাম্মদ আলী বলেন, “কেউ যেন কার্ডের জন্য টাকা না দেয়। মহিলা মেম্বারের এসব সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
What's Your Reaction?






