নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রি সমমানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সকে স্নাতক (পাস কোর্স) সমমানের ডিগ্রি ঘোষণার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে “এইচএসসির পর ডিপ্লোমা নাই, ডিপ্লোমাকে ডিগ্রি (সম্মান) সমমান চাই”—এই স্লোগানে নার্সিং শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হন।
পরে জেলা ডিপ্লোমা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি ডিগ্রি বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে নিজেদের দাবি তুলে ধরেন। তাঁদের শ্লোগানে উঠে আসে—‘দাবি মোদের একটা, ডিপ্লোমাকে ডিগ্রি চাই’, ‘বিএনএমসির দালালরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমার ভাইয়ের শরীরে রক্ত কেন?’, ‘বিএনএমসি জবাব চাই’ ইত্যাদি।
বিক্ষোভে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট, তিতাস নার্সিং কলেজ ও ইউনাইটেড নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজা সুলতানা ও মো. আরিফ মিয়া। তাঁরা অভিযোগ করেন, রোববার বিএনএমসি কার্যালয়ে ডিগ্রি সমমানের দাবিতে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের হামলায় অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। এই হামলার পেছনে বিএনএমসির রেজিস্ট্রার হালিমা আক্তারের মদদ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
হাফিজা সুলতানা বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণ করে এই শিক্ষা গ্রহণ করেছি। রোগীর সেবা দেওয়াই আমাদের পেশা। অথচ তিন বছরের ডিপ্লোমা শেষ করেও আমরা এইচএসসি সমমানের মূল্যায়ন পাই, যা অন্যায়।’
অন্যদিকে আরিফ মিয়া বলেন, ‘গত সরকার এবং ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো কার্যকর হয়নি।’
সমাবেশে অন্তত শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
What's Your Reaction?






