তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতেই তলিয়ে গেল নোয়াখালী

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মাত্র তিন ঘণ্টার টানা বর্ষণেই তলিয়ে গেছে নোয়াখালী শহর। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা আর খালের মুখ বন্ধ থাকায় বৃষ্টির পানি নামতে না পেরে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা। এতে জেলার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি, এমনকি সরকারি অফিস ও বাসাবাড়িও পানিতে ডুবে গেছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরবাসীসহ জেলার নিম্নাঞ্চলের হাজারো মানুষ।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাত্র তিন ঘণ্টায় ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এই মুষলধারে বৃষ্টিতেই শহরের বেশিরভাগ এলাকা পানিতে থইথই করতে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহর মাইজদীর স্টেডিয়াম এলাকা, ইসলামিয়া রোড, টাউন হল মোড় রোড এবং পৌর বাজার সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তাঘাট পানির নিচে। পানি ঢুকে পড়েছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও, যা দৈনন্দিন কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
এদিকে, বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর, হাজীপুর, দুর্গাপুর ও নরোত্তমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, গত ২০ দিন ধরেই তাদের এলাকা পানিবন্দি। সেখানকার সড়ক ও বাড়ির আঙিনায় পানি জমে থাকায় স্থানীয় লোকজন বাধ্য হয়ে নৌকায় চলাচল করছেন। আজকের বৃষ্টি সেই দুর্ভোগকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী শহরবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত নগরায়ন, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং পানি নিষ্কাশনের প্রধান খাল ও নালাগুলো দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রতি বছরই সামান্য বৃষ্টিতে তাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তারা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই এর জন্য দায়ী করছেন।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় আগামী আরও তিন থেকে চার দিন থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
What's Your Reaction?






