রাণীনগরে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

নওগাঁর রাণীনগরে পালশা-কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে বিক্ষোভের মুখে ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ শুরু করে এবং একপর্যায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ার হোসেনসহ অন্য শিক্ষকদের প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাণীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিলে তারা আলোচনায় বসতে রাজি হয়। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান, থানার ওসি (তদন্ত) বাবলু চন্দ্র পাল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের ঘোষণা দেন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে বিদ্যালয়ের পাশের একটি বাড়িতে প্রাইভেট পড়ানোর সময় কৃষি বিভাগের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী করেছেন—এমন অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার জেরে বিদ্যালয় খোলার পর শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
দুপুর আড়াইটা নাগাদ জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদত হোসেন ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।
এ সময় কয়েকজন ছাত্রী শিক্ষা কর্মকর্তাদের সামনে প্রকাশ্যে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এবং লিখিতভাবে তা জমা দেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “শ্লীলতাহানীর ঘটনা মিথ্যা। একটি মহল আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগ এবং প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।” উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল ইসলাম জানান, “লিখিত অভিযোগগুলো তদন্তসাপেক্ষে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
What's Your Reaction?






