নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে সবকিছু

জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন, “অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন, নতুবা সব কিছু আপনাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এর জন্য দায়ী থাকবেন আপনারা।”
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার জগদ্দল পাথরের মতো দেশের ওপর চেপে বসে দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বোচ্চ ৩০ জন শহীদ হয়েছিলেন। নতুন বাংলাদেশে এই জেলার অবদান অনস্বীকার্য।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, ছাত্র-জনতার গণজোয়ার না হলে এ পাথর সরানো সম্ভব হত না। ২০২৪ সালের বীর ছাত্র-জনতার তাজা রক্তের বিনিময়ে আজকের মুক্ত বাংলাদেশ।
বক্তারা বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে সাম্য ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। হাসিনা সরকারের গুলিতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
শনিবার (২ আগস্ট) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাংবাদিক ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে গণঅভ্যুত্থানের ভিডিওচিত্র প্রদর্শন, শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ। দোয়া পরিচালনা করেন জামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মাওলানা মুবারক উল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যায় যায় দিন–এর নির্বাহী সম্পাদক খুরশিদ আলম, নিউজ টুয়েন্টিফোর-এর হেড অব নিউজ শরীফুল ইসলাম খান, এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি ও ল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি হাসান জাবেদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আল-আমিন শাহিন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোবারক হোসাইন, হেফাজত ইসলামের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম, ইসলামী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক মুফতি বুরহান উদ্দীন কাসেমী, খেলাফত মজলিসের জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা আঃ আজিজ, হাফেজ এমদাদুল্লাহ সিরাজী ও ইসলামী আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নিয়াজুল করীম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি নিয়াজ মো. খান বিটু।
সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু জেলার বিভিন্ন উপজেলা ইউনিট থেকে আগত সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।
সবশেষে শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে মরণোত্তর সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
What's Your Reaction?






