রাণীনগরে ধান ব্যবসায়ী ও কৃষকের ঘরে চুরি: নগদ ১০ লাখ টাকা ও তিনটি গরু খোয়া
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় পৃথক তিনটি চুরির ঘটনায় দুই ধান ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লাখের বেশি টাকা এবং এক কৃষকের গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু চুরি হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত থেকে রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
উপজেলার একডালা গ্রামের মসলিম উদ্দীনের ছেলে ও আবাদপুকুর হাট এলাকার হক ট্রেডার্সের মালিক মোজাম্মেল হকের ছোট ভাই খাইরুল ইসলাম জানান, সপ্তাহের প্রতি রবি ও বুধবার আবাদপুকুর হাট বসে। রোববার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে তাঁরা হাটসংলগ্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ধান কেনাবেচা করছিলেন। এ সময় ধান বিক্রেতাদের ভিড়ের সুযোগ নিয়ে অজ্ঞাত চোরেরা অফিসের ক্যাশ ড্রয়ার ভেঙে নগদ ৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অন্যদিকে উপজেলার বড়িয়াপাড়া গ্রামের ভোলা সরদারের ছেলে ও বড়িয়াপাড়া ট্রেডার্সের মালিক ধান ব্যবসায়ী ফরিদ সরদার জানান, রোববার ভোরে মোটরসাইকেলে করে তিনি আবাদপুকুর বাজারে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যান। ধান কেনার জন্য রাখা টাকাভর্তি একটি ব্যাগ মোটরসাইকেলে রেখে ঘরের তালা খুলতে যান তিনি। কিন্তু তালার ভেতরে কেউ কিছু ঢুকিয়ে রাখায় তালা খুলছিল না। পরে হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে মোটরসাইকেলের কাছে ফিরে দেখেন, ব্যাগসহ ৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা চুরি হয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।
এ ছাড়া শনিবার রাতে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের কৃষক মারুফ হোসেনের গোয়ালঘর থেকেও তিনটি গরু চুরি হয়েছে। মারুফ হোসেন ওই গ্রামের আজিজার রহমান ফুলবরের ছেলে। তিনি জানান, রাতে গোয়ালঘরে চারটি গরু রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে দেখেন, চারটির মধ্যে তিনটি গরু নেই। চুরি হওয়া গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা।
এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, চুরির ঘটনাগুলোর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
What's Your Reaction?
কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর প্রতিনিধি, নওগাঁঃ