আজ শেষ হচ্ছে এসডিসি উদ্যোক্তা উন্নয়ন মেলা-২০২৫
স্থানীয় নিরাপদ পোল্ট্রি ও সবজি উদ্যোক্তাদের ব্র্যান্ডিং এবং বাজার সংযোগ জোরদার করার লক্ষ্যে ফরিদপুর শহরতলীর অম্বিকা ময়দানে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ‘এসডিসি উদ্যোক্তা উন্নয়ন মেলা–২০২৫’ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নেওয়াই ছিল মেলার প্রধান উদ্দেশ্য।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সহযোগিতায় সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) এ মেলার আয়োজন করে।
এসডিসির প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক কাজী আশরাফুল হাসানের সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাসান-বিন-মুহাম্মাদ আলী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি ফরিদপুরের উপপরিচালক মো. শাহাদুজ্জামান, ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ. কে. এম. আসজাদ, পরিবেশ অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপপরিচালক মো. সাঈদ আনোয়ার এবং পিকেএসএফ-এর মহাব্যবস্থাপক দিলীপ কুমার চক্রবর্তী।
এ ছাড়া মেলা চলাকালে অতিথি হিসেবে অংশ নেন পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আকন্দ মো. রফিকুল ইসলাম, ম্যানেজার (প্রোগ্রাম) ও নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট কপিল কুমার পাল এবং সেক্টর ভ্যালু চেইন স্পেশালিস্ট (হর্টিকালচার) মো. রাফিজুল ইসলাম মন্ডল।
মেলায় মোট ৩৪টি স্টল স্থান পায়। এসব স্টলে নিরাপদ পোল্ট্রি, গৃহপালিত হাঁস-মুরগি, বিষমুক্ত শাকসবজি, ভার্মিকম্পোস্ট ও জৈব সার, কুটির শিল্প এবং ফাস্টফুডসহ বিভিন্ন উদ্যোক্তা উদ্যোগ প্রদর্শিত হয়। মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল স্থানীয় পাইকার ও বাজার প্রতিনিধিদের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের সরাসরি ক্রেতা-বিক্রেতা সংযোগ সৃষ্টি।
মেলায় অংশ নেওয়া এক পোল্ট্রি উদ্যোক্তা বলেন, “নিরাপদ পদ্ধতিতে উৎপাদনকারী আমাদের মতো উদ্যোক্তাদের জন্য এই মেলা একটি বড় সুযোগ। সরাসরি ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের চাহিদা জানতে পারছি। এতে আমাদের পণ্যের ব্র্যান্ডিং যেমন হচ্ছে, তেমনি ন্যায্য মূল্য পাওয়ার পথও তৈরি হচ্ছে।”
মেলা চলাকালে ব্যাপক দর্শনার্থীর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। সকাল ও দুপুরে তুলনামূলক কম ভিড় থাকলেও বিকেল গড়াতেই হাজারো মানুষের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে।
ফরিদপুর শহর থেকে আগত এক দর্শনার্থী বলেন, “পরিবার নিয়ে এসে বিষমুক্ত সবজি ও দেশি মুরগি কিনেছি। পণ্যের মান খুব ভালো মনে হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, সরাসরি উৎপাদনকারীর কাছ থেকে কিনতে পারছি। এমন উদ্যোগ আমাদের স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করতে সহায়ক। প্রতি বছরই এমন উন্নয়নমূলক মেলা আয়োজন করা হোক।”
দর্শনার্থীরা মেলার আয়োজনের জন্য আয়োজক কমিটিকে সাধুবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিত এ ধরনের উদ্যোক্তা উন্নয়ন মেলা আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?
নুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ