নব্য স্বৈরাচারকে কোন ধরনের সুযোগ দেয়া হবে না - জামায়াত নেতা সেলিম উদ্দিন

রাজধানীর রাজপথ দখলে নিয়ে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের শক্তির জানান দিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। 'জুলাই সনদ'কে আইনী স্বীকৃতি, গণভোট এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঢল নামে, যা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মহাখালী থেকে শুরু করে উত্তরা ও তেজগাঁও পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি করে। এই জনসমুদ্র থেকেই দলের নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশে আর কোনো ‘নব্য স্বৈরাচারকে’ সুযোগ দেওয়া হবে না।
সোমবার (২০ অক্টোবর) পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকেই রাজধানীর মহাখালী কলেরা হাসপাতাল এলাকায় নেতাকর্মীরা জমায়েত হতে শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। যদিও আয়োজকরা সমাবেশ চলাকালীন রাস্তা খোলা রাখার চেষ্টার কথা বলেছিলেন, তবে নেতাকর্মীদের বিপুল স্রোতের কারণে প্রধান সড়ক কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে, যা নগরবাসীকে চরম ভোগান্তিতে ফেলে।
ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মোঃ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে তিনি তাঁর বক্তব্যে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, "কোনো ধরনের নব্য স্বৈরাচারকে আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।"
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি সরকারের তীব্র সমালোচনা করে দলের উত্থাপিত দাবিগুলো অবিলম্বে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা-১৭ ও ১৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা মহিব্বুল্লাহসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
এই বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়, তা নগরবাসীর মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। একদিকে যখন জামায়াতে ইসলামী তাদের রাজনৈতিক দাবি আদায়ে রাজপথে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে, অন্যদিকে তখন সাধারণ মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে এর মূল্য দিতে হচ্ছে।
What's Your Reaction?






