জবি শিক্ষার্থীকে হত্যার প্রতিবাদে কুবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ রহমান হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রদল।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে এই কর্মসূচি পালন করেন শাখা ছাত্রদল। এসময় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিবসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলে নেতাকর্মীরা ‘আমার ভাই মরল কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই’, ‘জবিতে লাশ পড়ে, ইন্টেরিম কি করে’, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই’, ‘শিক্ষা সন্ত্রাস, একসাথে চলে না’, ‘ছাত্রদলের অঙ্গীকার, নিরাপদ ক্যাম্পাস’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাশার বলেন, সংগ্রামী সহযোদ্ধা ও বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক মহলকে ধন্যবাদ জানাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিলে একাত্মতা প্রকাশের জন্য। তিনি বলেন, “আমরা যে সময়ে পড়ার টেবিলে থাকার কথা, সে সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সদস্য মো. জুবায়েদ হোসাইন হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে হচ্ছে- এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।”
তিনি আরও বলেন, ’২৪-পরবর্তী বিপ্লবের পর এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড কেউ আশা করেনি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা পারভেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্য, কুবির শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও তাঁর মা–সহ অসংখ্য মা-বোনের ওপর হামলা, শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার নিশ্চিতে ইন্টারিম সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি সরকার খুনিদের বিচার নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে- ইনশাআল্লাহ।”
শাখা ছাত্রদলের আরেকজন যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম শাওন বলেন, ২৪ শে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা চেয়েছিলাম একটি নিরাপদ, বাসযোগ্য বাংলাদেশ,যেখানে মানুষের জীবন ও অধিকার থাকবে সুরক্ষিত। কিন্তু সেই স্বপ্ন আজও অধরাই রয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্য, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পারভেজ এবং এই ধারাবাহিকতার সর্বশেষ শিকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহসী ছাত্রদল নেতা জুবায়ের।
তিনি আরও বলেন, এই নির্মম হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি শুধু একজন তরুণ নেতার মৃত্যু নয়; এটি আমাদের গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তার উপর আঘাত। আমরা ইন্টেরিম সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই,অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে গ্রেফতার করে দ্রুততম সময়ে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, আজ সন্ধ্যার দিকে পুরান ঢাকার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুবায়েদ রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
What's Your Reaction?






