রাণীনগরে খেলার মাঠের অভাবে ক্রীড়ানৈপুণ্য দেখাতে পারছে না সিম্বা ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

নওগাঁর রাণীনগরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিম্বা ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয় বরাবরই এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনেও নিজেদের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখেছে। ফুটবল, হ্যান্ডবল, ভলিবল ও ক্রিকেটসহ সব ধরনের খেলায় পুরস্কার অর্জন করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। তবে, বিদ্যালয়ে একটি মানসম্মত খেলার মাঠ না থাকায় শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অনুশীলন ব্যাহত হচ্ছে, যা তাদের আরও ভালো ক্রীড়াবিদ হিসেবে গড়ে ওঠার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যালয়ের স্কাউটস দল বিভিন্ন সরকারি কর্মকাণ্ডে এবং জাতীয় দিবসগুলোর প্রদর্শনীতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে উপজেলাজুড়ে প্রশংসা অর্জন করেছে। কিন্তু একটি ভালো মাঠের অভাবে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের আক্ষেপ রয়েছে।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছা: সুরাইয়া জান্নাত জানায়, তারা নিয়মিত উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিদ্যালয়ে সাফল্য বয়ে আনলেও, একটি ভালো মাঠের অভাবে নিয়মিত অনুশীলন করতে পারছে না। তার মতে, একটি ভালো মাঠ পেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যেতে পারত।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো: আপন জানায়, "সুস্থ শরীর ও সুস্থ মনই একজন শিক্ষার্থীর প্রধান হাতিয়ার। কিন্তু একটি ভালো মাঠ না থাকায় আমরা নিয়মিত খেলাধুলার মাধ্যমে শরীর ও মনকে সতেজ রাখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।" শিক্ষার্থীরা বর্তমানে উঁচু-নিচু ও এবড়ো-খেবড়ো মাঠেই অনুশীলন করতে বাধ্য হচ্ছে। মাঠটি দ্রুত সংস্কার করে দিলে আগামীতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্রীড়া জগতে আরও বেশি সুনাম অর্জন করতে পারবে বলে সে আশা প্রকাশ করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবু সাইদ প্রাং জানান, বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, যার মধ্যে ১৭০ জন ছাত্রী এবং ১৩০ জন ছাত্র। খেলাধুলার মানের দিক থেকে বিদ্যালয়টি উপজেলায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও, মাঠের অবস্থা খুবই শোচনীয়। তিনি বলেন, "মাঠটি পাহাড়ের মতো উঁচু-নিচু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অনুশীলন করানো সম্ভব হয় না।"
এছাড়া, বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত শহীদ মিনারটির অবস্থাও খুবই নাজুক। প্রধান শিক্ষক মাঠটির আধুনিকায়ন এবং শহীদ মিনারটি নতুন করে নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন, যাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং এলাকাবাসী খেলাধুলার সুযোগ পায়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, "বিদ্যালয়ের মাঠটি আধুনিকায়নের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।"
What's Your Reaction?






