বেঁচে থাকার লড়াই থেমে গেল জারিফ ও মাসুমার

উত্তরার আকাশে ভয়াবহ সেই বিকট বিস্ফোরণের ধ্বনি এখনও যেন কানে বাজছে। বই-খাতায় ভরা ক্লাসরুম এখন নিঃশব্দ—আর কখনও ফিরবে না জারিফ ফারহান। স্কুলের সেই চেনা মুখ, যার পাশে ছিল হাসিমুখের মাসুমা বেগম, তিনিও আর নেই।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে মৃত্যু হয় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জারিফ (১৩) ও স্কুলকর্মী মাসুমা বেগমের (৩৮)। তাঁদের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্বজন, সহপাঠী ও সহকর্মীরা।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে জারিফের মৃত্যু হয় সকাল ৯টার দিকে। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। বেলা পৌনে ১১টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মাসুমা, যার শরীরের ৯০ শতাংশই আগুনে পুড়ে গিয়েছিল।
এই দুইজনের মৃত্যুতে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫ জনে। এর মধ্যে শুধু বার্ন ইনস্টিটিউটেই মারা গেছেন ১৭ জন।
গত সোমবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হলে ঘটে যায় হৃদয়বিদারক এই ঘটনা। এখনও সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকে।
আজ শনিবারও স্কুল ফটকে দেখা গেছে উদ্বিগ্ন অভিভাবক, সহপাঠী ও স্থানীয়দের ভিড়। শ্রেণিকক্ষে পড়ে থাকা বই-খাতা আর পুড়ে যাওয়া বেঞ্চ যেন আভাস দেয়—এই শোক সহজে মুছে যাবে না।
What's Your Reaction?






