ভাঙ্গায় ‘ডেভিল হান্ট’ বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ‘ডেভিল হান্ট’ বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। বুধবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—ভাঙ্গা উপজেলা আলগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কমল দাস, নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলামিন (৩৫) এবং একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামরুল মীর।
পুলিশ জানায়, কমল দাস আলগী ইউনিয়নের বালিয়াচড়া গ্রামের মনিমোহন দাসের ছেলে। বুধবার রাত আনুমানিক একটার দিকে ভাঙ্গা বাজারে তাঁর নিজ বাসার সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভাঙ্গা থানার সূত্রে জানা গেছে, তাঁর বিরুদ্ধে ১৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৭/৮/৯ (৩১/১০/১১) ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়।
মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর সকালে ভাঙ্গা থানাধীন পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন ব্যক্তি একত্রিত হয়ে সড়ক অবরোধ, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নাশকতার পরিকল্পনা করে। অভিযোগে আরও বলা হয়, এ সময় তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও অর্থায়নের মাধ্যমে দেশব্যাপী অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়।
অপরদিকে, একই রাতে পৃথক অভিযানে নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলামিন এবং ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামরুল মীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ভাঙ্গা পৌরসভার রেলক্রসিং এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল আলিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অভিযানে আওয়ামী লীগের তিন নেতাসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁদের ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
What's Your Reaction?
সরোয়ার হোসেন, ভাঙ্গা প্রতিনিধি, ফরিদপুরঃ