ঘূর্ণিঝড় ‘বাইরন’ আঘাতে নতুন বিপর্যয়ের মুখে ইসরায়েল, জারি কঠোর নিরাপত্তা নির্দেশনা
তীব্র বৃষ্টি ও প্রবল দমকা হাওয়া নিয়ে ইসরায়েলে আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড় ‘বাইরন’। ঝড়ের প্রভাবে দেশজুড়ে বন্যা ও বিপজ্জনক আবহাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে প্রস্তুতি জোরদার করে দেশটির প্রশাসন। সেনাদের জন্য জারি করা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা নির্দেশনা।
টাইমস অব ইসরায়েলের বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবহাওয়া খারাপের দিকে মোড় নেওয়ায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। আইডিএফ চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়াল জামির বুধবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সব সৈন্যকে ঘাঁটিতে অবস্থান বাধ্যতামূলক করেছেন। এই সময়ের মধ্যে কোনো সেনা সপ্তাহান্তের ছুটিতে বাড়ি ফিরতে পারবে না।
আইডিএফ জানিয়েছে, সব ধরনের আউটডোর প্রশিক্ষণ—হেঁটে বা যানবাহনে—সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শুধু মেজর জেনারেলের অনুমতিতে ব্যতিক্রম হতে পারে। নেভিগেশন, ক্যামোফ্লাজ অনুশীলনসহ অনুরূপ প্রশিক্ষণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাতে বাইরে অবস্থান করাও নিষিদ্ধ; তবে অপারেশনাল প্রয়োজন হলে আঞ্চলিক ডিভিশন কমান্ডারের অনুমোদন লাগবে।
রুটিন নিরাপত্তা কার্যক্রম সীমিত করে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যক কাজের মধ্যে রাখা হয়েছে। ফুট প্যাট্রলসহ সব ধরনের অপারেশনাল চলাচল নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। লজিস্টিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কর্নেল বা কর্পস কমান্ডারের অনুমোদন বাধ্যতামূলক। আইডিএফ জানায়, নির্দেশনা শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বহাল থাকবে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তন আসতে পারে।
গ্রিস ও সাইপ্রাসে তাণ্ডব চালানোর পর ঘূর্ণিঝড় বাইরন ইসরায়েলে প্রবেশ করে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার এর তীব্রতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর সতর্কতা দেওয়া হয়।
এদিকে নতুন ঝুঁকি মূল্যায়নের পর আইডিএফ দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যন্ত ঘাঁটির সেনাদের আগেভাগেই ছুটি দিয়ে নিরাপদে বাড়ি পাঠায়। দক্ষিণাঞ্চলের বহু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে, যেখানে আইডিএফের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অবস্থিত।
ইসরায়েলি আবহাওয়া অধিদপ্তর বুধবার রাত ১০টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল এবং শফেলা এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে। এসব অঞ্চলে ১০০ থেকে ১৫০ মিমি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
What's Your Reaction?
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ