আশুলিয়ায় স্ত্রীর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে তুলে বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা

আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল এলাকায় স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ গোপনে বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করছিলেন স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক (৩০)। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে স্থানীয়দের সন্দেহে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
নিহত মিতা খাতুন (২০) নাটোরের বাগাতিপাড়া থানার মিশ্রিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার স্বামী মোস্তাক নাটোর সদর উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে। পেশায় স্যানেটারি মিস্ত্রি মোস্তাক দক্ষিণ বাইপাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে মোস্তাক স্ত্রীর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিয়ে নিজে চলে যান। মরদেহের সঙ্গে কোনো স্বজন না থাকায় চালক লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে স্থানীয়রা মোস্তাককে খুঁজে এনে সঙ্গে যেতে বললে সে অস্বীকৃতি জানায়। এতে সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়।
অ্যাম্বুলেন্স চালক শামীম মিয়া বলেন, “মোস্তাক ফোন করে নাটোর যাওয়ার কথা বলে আমাকে ডাকে। লাশ উঠানোর পর আমি জানতে চাই, কে যাবে সঙ্গে? সে বলে, ‘আত্মীয়রা সামনে আছে।’ আমি একা যেতে রাজি না হওয়ায় তাকে যেতে বললে সে অসম্মতি জানায়। তখন স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলে।”
ভাড়াটিয়া আজিজ বলেন, সকালে মোস্তাক সহকারীদের সঙ্গে বাসায় যান। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় পাশের ঘর দিয়ে বাঁশের মাচাল উঁচু করে নিজের রুমে ঢোকার চেষ্টা করেন। চিৎকার করলে সহকারীরা দরজা খুলে মরদেহ নিচে নামায়। পরে সে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল তালুকদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ধারণা করা হলেও, ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। মোস্তাককে আটক করা হয়েছে, আইনগত ব্যবস্থা চলমান।
What's Your Reaction?






