কাপ্তাইয়ে ওয়াগ্গা দোলইন্যা পাড়া রত্নমুনি বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান উৎসব সম্পন্ন

রিপন মারমা, কাপ্তাই প্রতিনিধি, রাঙ্গামাটিঃ
Oct 26, 2025 - 12:18
 0  5
কাপ্তাইয়ে ওয়াগ্গা দোলইন্যা পাড়া রত্নমুনি বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান উৎসব সম্পন্ন

রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে ওয়াগ্গা দোলইন্যা পাড়া রত্নমুনি বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দানোত্তম কঠিন চীবর দান সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনব্যাপী পঞ্চশীল প্রার্থনা ও অন্যান্য ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই পবিত্র উৎসব উদযাপিত হয়। এটি ছিল দোলইন্যা পাড়া রত্নমুনি বৌদ্ধ বিহারের ১ম তম কঠিন চীবর দান উৎসব, যা বিহারাধ্যক্ষ এবং দায়ক-দায়িকাদের সম্মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ নিকায় মার্গের মহা সংঘনায়ক (মাংগই) চিৎমরম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত পামোক্ষা মহাথেরো। নোয়াপাড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত পুঞঞাওয়াইন্সা মহাথেরো সভাপতিত্ব করেন এবং ব্যাঙছড়ি মারমা পাড়া জয়মঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ উঃ সনা মহাথেরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

প্রধান জ্ঞাতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবতাছড়ি মহাজন পাড়া স্বধর্ম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ক্ষেমিন্দা মহাথেরো। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে নাইক্য-বান্দায়া পাড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ক্ষেমাচারা মহাথেরো, উদালবনিয়া পাড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত পাইন্দাওয়াইন্সা মহাথেরো এবং ডংনালা শাক্যনন্দ বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত সুরিয়া মহাথেরো উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কাপ্তাই ওয়াগ্গা দোলইন্যা পাড়া রত্নমুনি বৌদ্ধ বিহার কমিটির সভাপতি কংক্যপ্রু কারবারি প্রধান অতিথির হাতে বিহারের জমি দানপত্র হস্তান্তর করেন এবং বক্তব্য প্রদান করেন। বিহার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেম্বার হ্লাচিং মারমাও এ সময় বক্তব্য রাখেন। শত শত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ এই পূণ্যময় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল ভোরে পরিত্রাণ পাঠ, পুষ্পপূজা ও ভিক্ষুসংঘের প্রাতঃরাশ, জাতীয় পতাকা ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধপূজা, শীলগ্রহণ, সংঘদান এবং ভিক্ষু সংঘের ধর্ম দেশনা। দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী সংগীত, দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান এবং পূজনীয় ভিক্ষু সংঘের ধর্মোপদেশ।

ধর্মসভা ও পঞ্চশীল গ্রহণের পর চীবর দানের মাধ্যমে 'মুক্তির অহিংসা বাণী ছড়িয়ে যাক মানুষে মানুষে এবং সামনের দিনগুলোতে শান্তি ফিরে আসুক ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের' এমন প্রার্থনার মধ্য দিয়ে চীবর দান অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বলন ও ফানুস বাতি উত্তোলনের মাধ্যমে উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow