নির্যাতনের পর জোরপূর্বক তালাক, কাবিনের ১২ লাখে পেলেন ৫০ হাজার

আশুলিয়ায় এক নারীকে তিন দিন ধরে ফ্ল্যাটে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনের পর কাজী অফিসে নিয়ে জোরপূর্বক তালাক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এসময় ১২ লাখ টাকার কাবিন মাত্র ৫০ হাজার টাকায় নির্ধারণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে তালাকনামায় টিপসই নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। পরে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী তাহমিনা বেগম জানান, তিনি আশুলিয়ার সোনামিয়া মার্কেট এলাকার একটি স্কুলে দপ্তরী পদে চাকরি করেন। প্রায় তিন বছর আগে তার বিয়ে হয় সম্রাট নামের এক যুবকের সঙ্গে। বিয়ের এক বছর না যেতেই স্বামী অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই তাহমিনার ওপর নির্যাতন শুরু হয়।
তাহমিনা বলেন, “আমাকে তিন দিন ধরে একটি ফ্ল্যাটে আটকে রেখে মারধর করা হয়। পরে ২ আগস্ট রাত ১টার দিকে রাজাবাদশা মোড়ের কাজী ইব্রাহীমের অফিসে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে তালাকের কাগজে সই করানো হয়। ১২ লাখ টাকার কাবিন থেকে মাত্র ৫০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়। তারও কিছু অংশ দেওয়া হয়েছে। কোনো উপায় না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। আমি ন্যায়বিচার চাই।”
স্থানীয় আরিফা বেগম বলেন, “মহিলাকে আটকে রেখে নির্যাতন করে রাতের আঁধারে কাজীর কাছে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক তালাক দেওয়া হয়েছে। ১২ লাখ টাকার কাবিন থেকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথাও রাখা হয়নি। এ কাজ কোন নিয়মে হলো, তা বোঝা যাচ্ছে না। ওই কাজীর বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ রয়েছে।”
অভিযোগের বিষয়ে কাজী ইব্রাহীম ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। আর অভিযুক্ত সম্রাটের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এএসআই নাজমুল হাসান বলেন, “অভিযোগের পর ঘটনাস্থলে যাই এবং উভয়পক্ষকে বসাই। পরে ওই নারী আমাকে ফোনে জানান, তারা মীমাংসা করেছেন। এরপরও আমি তাকে বলেছি কোর্টে যৌতুক মামলা করলে কাবিনের ১২ লাখ টাকা আদায় করতে পারবেন।”
What's Your Reaction?






