ফরিদপুরে আদালতের রায় কার্যকরের পরও জমি দখল, আতঙ্কে ক্রেতা পরিবার
আদালতের রায় কার্যকর হওয়ার পরও দখল বুঝে নেওয়া জমি হারিয়ে এখন নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আটরশি গ্রামের মোঃ শাহজালাল ভূঁইয়া।
আদালতের নির্দেশে রেজিস্ট্রি ও দখল সম্পন্ন হলেও প্রভাবশালী একটি মহল জোরপূর্বক জমিটি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে শাহজালাল ভূঁইয়া এ অভিযোগ করেন।
তিনি জানান, ২০২২ সালে মৃত জালাল মৃধার ছেলে রিয়াজউদ্দিন রনির কাছ থেকে ২.৪৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন (দলিল নং–১৩৪৫)। বিক্রেতা জমি রেজিস্ট্রি না করায় তিনি ভাঙ্গা-সদরপুর দেওয়ানি আদালতে মামলা (নং–২১৭/২০২২) দায়ের করেন। ২০২৩ সালের ১১ জুলাই আদালত তার পক্ষে রায় দেন এবং ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি সম্পন্নের নির্দেশ দেন। বিক্রেতা পক্ষ রায় না মানায় পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে জমিটি শাহজালালের নামে রেজিস্ট্রি ও দখল হস্তান্তর করা হয় (দলিল নং–৩৯৮৩)।
এরপর থেকেই প্রতিপক্ষ রিয়াজউদ্দিন রনি ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং একের পর এক হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। পিবিআই ও সিআইডির তদন্তে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়।
শাহজালাল ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, রায় কার্যকর হলেও প্রতিপক্ষ এখনো হুমকি দিচ্ছে এবং পেশিশক্তির মাধ্যমে গত ৩ অক্টোবর তার ৪.৮৫ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছে। তিনি “ভূমি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩” অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছেন, যেখানে সদরপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্তে দখলের ঘটনা সত্য বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
তিনি আরও জানান, একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে—যেমন ১৯ অক্টোবর দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এ প্রকাশিত ‘বিধবার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
শাহজালাল ভূঁইয়া বলেন, “আইন মেনে জমি কিনেও এখন আমার জীবন ঝুঁকিতে। প্রতিদিন আতঙ্কে ঘুমাই। প্রশাসনের কাছে আমার একটাই অনুরোধ—আমার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন এবং ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিন।”
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ গাঙ্গুলি, শাহজালাল ভূঁইয়ার পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
What's Your Reaction?
শফিকুল ইসলাম জনি, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ