‘ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গ্রেফতার’
ফরিদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল জলিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ, ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়ালসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৯ নভেম্বর সকাল ৬.২০ মিনিটে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কাছে মোঃ ফারুক হোসেন ওরফে ‘বোমা ফারুক’ ও নাসরিন আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। তারা আগামী ১৩ নভেম্বর ঢাকা শহরে ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ও দেশের অন্যান্য স্থানে অরাজকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল। এই পরিকল্পনার মধ্যে ছিল অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, সরকারের বিপক্ষে উস্কানিমূলক স্লোগান প্রদান ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি।
গ্রেফতারকৃত মোঃ ফারুক হোসেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রাক্তন প্রেসিডিয়াম সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী তাকে ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করেছিলেন ঢাকা লকডাউন কার্যক্রম সফল করার জন্য। এছাড়া তিনি দলের অন্যান্য কার্যক্রমের জন্যও বিকাশে অর্থ প্রেরণ করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মোঃ ফারুক হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি ১৯৮১ সালে সরকারি ইয়াছিন কলেজের ভিপি, পরবর্তীতে জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারী ও সভাপতি এবং যুবলীগের জেলা সেক্রেটারী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ২০২১ সাল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর বর্তমান সভাপতির অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ফরিদপুর জেলা পুলিশ জানিয়েছে, মোঃ ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কোতয়ালী থানায় ৪টি এবং ঢাকার বিভিন্ন থানায় ২টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকালে তার মোবাইল ফোন পর্যালোচনা করে পাওয়া গেছে, যে তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে ঢাকা লকডাউন সফল করার প্রচেষ্টা চলছিল।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মোঃ ফারুক দেশের অভ্যন্তরে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম ও ছাত্রলীগের গোপন সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছিল।
What's Your Reaction?
জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুরঃ