সদরপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই সদস্যসহ তিন শতাধিক মানুষের খেলাফত মজলিসে যোগ

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসে একযোগে যোগ দিয়েছেন তিন শতাধিক মানুষ। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় ভাষাণচর ইউনিয়নের ঘ্যানার বাজারে আয়োজিত এক যোগদান সভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাবু ঠাকুর ও রবি ঠাকুর নামে দুই ব্যক্তি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। তাদের হাত ধরে স্থানীয় শহীদ মোল্লা ও উসমান মোল্লার নেতৃত্বে আরও শতাধিক অনুসারী দলটিতে যোগ দেন।
উল্লেখযোগ্য এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও ফরিদপুর জেলা শাখার সহসভাপতি আলহাজ্জ মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লা।
সভাপতিত্ব করেন ভাষাণচর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মুফতী মাহমুদ হাসান, সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আমজাদ হুসাইন, সাধারণ সম্পাদক মুফতী আবু নাসির আইয়ুবী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আরিফ বিল্লাহ, সদরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতী মুহাম্মাদ জাকির হুসাইন ফরিদী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাদিকুর রহমান সিদ্দিকী,
ভাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান এবং চরভদ্রাসন উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতী জাকারিয়া।
সদ্য যোগদানকারী বাবু ঠাকুর বলেন, “যারা কুরআন পড়ে, নামাজ পড়ে তারা অন্যায় করতে পারে না। মামুনুল হক সাহেবের ইসলামিক আদর্শ ও হুজুরদের জীবনযাপন দেখে আমি খেলাফত মজলিসে যোগ দিয়েছি। মিজান ভাই আমাদের এলাকার ভাই, তিনি সবসময় সুখ-দুঃখে পাশে থাকেন।”
প্রধান অতিথি মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, “১৭ বছর আগে কিছু আলেম সংসদে ছিলেন— কিন্তু কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল না। তারা কখনো জেলেও যাননি। আলেমরা ক্ষমতায় গেলে দেশে মাদক, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস থাকবে না। আমি যদি নির্বাচিত হই, ইনশাআল্লাহ অপরাধ শিকড় থেকে উপড়ে ফেলবো।”
তিনি আরও বলেন, “যাদের মধ্যে ঈমানী দায়িত্ব আছে তারা কখনো চুরি, খেয়ানত, হয়রানি করতে পারে না। ইসলামই দেশের কল্যাণের একমাত্র পথ।”
What's Your Reaction?






