ফরিদপুরের মধুখালীতে মাদক, কিশোর গ্যাং নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা

মাদক, জুয়া, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত আর সাইবার অপরাধের লাগাম টানতে এবার थेट জনতার মুখোমুখি হলো পুলিশ। ফরিদপুরের মধুখালীতে পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে অপরাধ দমনে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ার লক্ষ্যে এক ব্যতিক্রমী “ওপেন হাউজ ডে” ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় মধুখালী থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই সভায় পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবাই খোলামেলা আলোচনায় অংশ নেন। মধুখালী থানা পুলিশের এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ আব্দুল জলিল, পিপিএম। সভায় সভাপতিত্ব করেন মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এস এম নুরুজ্জামান।
সভার শুরুতেই পুলিশ সুপার এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং পুলিশি সেবার মান নিয়ে উপস্থিত জনতার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। সাধারণ মানুষ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও সুধীজনেরা নিজ নিজ এলাকার সমস্যা, বিশেষ করে মাদক, ইভটিজিং, চুরি-ছিনতাই এবং উঠতি বয়সী কিশোরদের বেপরোয়া আচরণ নিয়ে খোলামেলা মতামত তুলে ধরেন।
জনসাধারণের বক্তব্য শোনার পর প্রধান অতিথির ভাষণে পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল জলিল মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, "মাদকের ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। আমরা এ বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছি।" তিনি কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ এবং নারীর প্রতি সহিংসতার মতো সামাজিক ব্যাধিগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
এসপি আব্দুল জলিল অঙ্গীকার করে বলেন, "আজকের এই উন্মুক্ত আলোচনায় যে সকল সমস্যা ও পরামর্শ উঠে এসেছে, তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করা হবে।" তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের কার্যক্রমে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, "জনগণ ও পুলিশ একসাথে কাজ করলেই একটি নিরাপদ সমাজ গড়া সম্ভব।"
এই ব্যতিক্রমী আয়োজনে মধুখালী থানার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ ও জনতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।
What's Your Reaction?






