চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জনি বিএনপি'র নামে অপকর্মে জড়িত, অভিযোগ স্থানীয়দের

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের হিরনের খিলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সদস্য মো. শেখ সিফাত ইসলাম জনি’র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপির নাম ব্যবহার করে সে এলাকায় চাঁদাবাজি, জবরদখল, তদবির বাণিজ্য এবং মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
জনির স্ত্রী শেখ রেহেনা (ডাকনাম: সুন্দরী) রশুনিয়া ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধেই রয়েছে একাধিক মাদক মামলা। স্থানীয়রা জানান, তারা বহুবার মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, গত ৫ আগস্টের আন্দোলনের পর জনি বিএনপির প্রভাবশালী নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। সেই পরিচয়ে এলাকার সালিশ-বিচারে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব কায়েম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার বিচার না মানলে এলাকাবাসীকে মামলা ও হামলার হুমকি দেওয়া হয়।
সিরাজদিখান কেন্দ্রীয় বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর হক জানান, “শেখ সিফাত ইসলাম জনি আমাদের সমিতির কেউ নয়। সে আমাদের মার্কেট দখল করতে চায় এবং দোকানদারদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। আমরা বিষয়টি নিয়ে জয়েন্ট রেজিস্ট্রারের কাছে আইনি ব্যবস্থার অনুরোধ জানাবো।”
রশুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক শিকদার বলেন, “জনি শুধুই মাদক ব্যবসায়ী নয়, সে মাদক সম্রাট। স্বামী-স্ত্রী দুজনই একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, জনি থানায় নিয়মিত যাতায়াত করে এবং মাদক মামলার আসামিদের পক্ষে তদবির করে। ওসি সাহেবকে আমি বিষয়টি অবহিত করেছি।”
এদিকে জনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে খোঁজ নিতে আহ্বান জানান স্থানীয়রা। তারা শিগগিরই জনি ও তার স্ত্রীর গ্রেপ্তারের দাবিতে গণমিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জনি বলেন, “৫ আগস্টের পর একটি প্রভাবশালী মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই।”
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম হায়দার আলী বলেন, “যদি তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে যুবদলের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
What's Your Reaction?






