সালথায় মসজিদের চাবি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০ জন

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় মসজিদের চাবি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ২০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বোয়ালমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামে টানা চার ঘণ্টা ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের হামলায় দুটি বাড়ি ও একটি দোকান ভাঙচুরেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকেই বাহিরদিয়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও ইমরান মোল্যা গোষ্ঠীর সঙ্গে মৌলভী হেমায়েত হোসেন গোষ্ঠীর বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা মসজিদের দরজার চাবি দাবি করলে ইমরানপক্ষ তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে রাতে স্থানীয় আলেম-ওলামা ও রাজনৈতিক নেতারা উভয়পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করলেও শুক্রবার ভোরে হেমায়েতপক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইমরানপক্ষের বাড়িতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
What's Your Reaction?






