সেনাবাহিনীর অভিযানে কুখ্যাত ছিনতাইকারী চক্রের প্রধানসহ ছয়জন গ্রেপ্তার

ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং লিডার ও ছিনতাইকারী চক্রের প্রধান ইয়ার হোসেনসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতভর পরিচালিত এই অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, মাদক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে ইয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং এবং মাদক ব্যবসায়ীদের চক্র আশুলিয়ার জামগড়া, ভাদাইল ও রূপায়ন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারধর, প্রাণনাশের হুমকি এবং মাদক ব্যবসার মতো কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। একাধিকবার আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এ বিষয়ে জানানো হলেও অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছিল। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সহিংস ঘটনা জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের নজরে এলে তারা তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, সোমবার রাতে জামগড়া প্রাইমারি স্কুল, বটতলা রূপায়নসহ মোট পাঁচটি পৃথক স্থানে একযোগে বিশেষ অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল। অভিযানে কিশোর গ্যাং লিডার ইয়ার হোসেন (২০) এবং মাদক ব্যবসায়ী ও দুষ্কৃতিকারী সোনা মিয়া (৪৫) সহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত বাকিরা হলো - আশরাফুল (১৮), বড় বাবু (১৯), ছোট বাবু (১৭) এবং আকাশ (১৮)। জানা গেছে, ইয়ার হোসেন ও সোনা মিয়ার নামে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার, চাঁদাবাজি, অনলাইন বেটিং, মাদক ব্যবসা এবং কিশোর গ্যাং পরিচালনা সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
অভিযান চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে ১৬টি দেশীয় অস্ত্র, ৫টি কাঁচি ও ধারালো অস্ত্র, ৫ পট গাঁজা, অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত ৮টি মোবাইল ফোন এবং ৪৮টি মোবাইল সিম কার্ডসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে, গ্রেপ্তারকৃত ছয়জন এবং উদ্ধারকৃত সকল আলামত আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই সফল অভিযানের ফলে জামগড়া ও তার আশেপাশের এলাকার জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনীর এমন অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
What's Your Reaction?






