কমলাপুরে ভাইরাল কুলির ভিডিওর পেছনের গল্প...
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কমলাপুর রেলস্টেশনের এক কুলির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ‘বাপ্পি’ নামের ওই কুলি এক যাত্রীকে ট্রেন ধরাতে সাহায্য করছেন। তবে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই ঘটনাটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন— কেউ বলেছেন, যাত্রী টাকা না দিয়েই পালিয়ে গেছেন। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঘটনার আসল চিত্র কিছুটা ভিন্ন।
ঘটনাটি ঘটেছে ৮ নভেম্বর রাতে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এক যাত্রী মালপত্র নিয়ে দৌড়াতে না পারায় বাপ্পি এগিয়ে এসে সাহায্য করেন। তিনি মালপত্র মাথায় তুলে নিয়ে যাত্রীকে ট্রেনে উঠিয়ে দেন। যাত্রী কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তাকে ৫০ টাকা পারিশ্রমিক দেন। তবে বাপ্পি দাবি করেন, তিনি দূর থেকে দৌড়ে এসে ট্রেন থামিয়ে সাহায্য করেছেন, তাই ২০০ টাকা বখশিশ পাওয়া তার প্রাপ্য।
শেষ পর্যন্ত যাত্রী ২০০ টাকা দিতে রাজি হলেও, ভাংতি না থাকায় পুরো টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। ট্রেন ছাড়ার সময় বাপ্পি কিছুদূর দৌড়ে ট্রেনের দরজা পর্যন্ত গিয়ে বলেন, “ওই যে ৫০ টাকা দিছে, ওইটাই নিছি। বলছি- আল্লাহ আপনারে বিচার করবো। আমি যদি লেজ হইয়া থাকি, তাহলে আমি পামু স্যার।”
এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বাপ্পির কথাগুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। অনেক নেটিজেন বাপ্পির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে লেখেন, দিনমজুর মানুষ হিসেবে তিনি ন্যায্য পারিশ্রমিক না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাত্র।
অন্যদিকে, কিছু যাত্রী জানান, কমলাপুর স্টেশনে কুলিদের নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক নির্ধারিত না থাকায় প্রায়ই এমন ভুল বোঝাবুঝি ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্টেশন এলাকায় একটি কুলি সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে, যারা অনেক সময় যাত্রীদের মালপত্র জোর করে নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে।
What's Your Reaction?
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ