ইন্দুরকানীতে চন্ডিপুরের জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামি ইউনুস শেখ ঢাকায় গ্রেপ্তার

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে আলোচিত জোড়া খুন মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ইউনুস শেখকে ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে র্যাবের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ জুন) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর আজমপুর জয়নাল মার্কেট সংলগ্ন হাজী সবুর খান রোডের একটি বাসা থেকে ইউনুস শেখকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে ইন্দুরকানী থানায় নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৭ জুন) রাত ১১টার দিকে ইন্দুরকানীর পশ্চিম চরবলেশ্বর ওয়ার্ডে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতরা হলেন ওই এলাকার ইউপি সদস্য, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার এবং তার ভাবী মুকুলী বেগম।
জানা যায়, শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ঘরে মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে পুকুর ঘাটে গিয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওঁৎ পেতে থাকা ইউনুস শেখসহ ৭-৮ জন সন্ত্রাসী রামদা, চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। চিৎকার শুনে বড় ভাইয়ের স্ত্রী মুকুলী বেগম ছুটে এলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে শহিদুলের স্ত্রী রেহেনা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে ঘাতকরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে রেহেনা বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে পিরোজপুর সদর হাসপাতাল, পরে খুলনা মেডিকেল এবং সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি সেখানেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
ঘটনার দিন রাতে নিহত শহিদুলের বড় ভাই মুর্তজা হাওলাদার বাদী হয়ে ইউনুস শেখকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ২ নম্বর আসামি রফিকুল শেখকে ওইদিনই গ্রেফতার করা হলেও মূল হোতা ইউনুস শেখ পলাতক ছিল।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. মারুফ হোসেন জানান, “ইউনুস শেখকে র্যাবের সহযোগিতায় ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছে। তাকে জেলহাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
স্থানীয়দের মতে, এই হত্যাকাণ্ড এলাকায় চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। দ্রুত সব আসামির গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
What's Your Reaction?






