পিরোজপুর জেলা রেজিস্ট্রি ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনিময় ও দূর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান

পিরোজপুর জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ও সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনিময়,দূর্নীতি,চেম্পারিং, জালিয়াতি ও ঘুষের বিনিময়ে দলিল রেজিস্ট্রির অভিযোগে অভিযান চালিয়াছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের অভিযান চালানোর বিষয়ে জানিয়েছেন জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন।
দুদক সূএ জানা যায়, পিরোজপুরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিস গুলোতে অনিময়, দূর্নীতি, চেম্পারিং, জালিয়াতি ও ঘুষের বিনিময়ে দলিল রেজিস্ট্রি অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অনিয়ম পাওয়া যায়। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন নকল নবিশ অফিস ক্যাম্পাসে বসার কথা থাকলেও তারা সরাসরি অফিসের ভেতরে কর্মকর্তা দের মত বসে সেবা দিচ্ছেন যা সম্পূর্ণ নিয়ম বর্হিভূত। এছাড়াও দুইজন নকলনবীশ মর্জিনা খানম এর থেকে ৫০ হাজার এবং শিল্পি রানীর কাছ থেকে নগদ ১৭ হাজার টাকা সর্বমোট ৬৭ হাজার টাকা সন্দেহজনক ভাবে উদ্ধার করা হয়েছে বলে আমরা তাদের জিজ্ঞাসা বাদের জন্য রেখেছি।
অভিযুক্ত মর্জিনা খানম (৪৩) সদর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকার মানিক সিকদার এর স্ত্রী। শিল্পি রানী (৪৮) নাজিরপুর উপজেলার শ্যামল বড়াল এর স্ত্রী। তারা দুজনেরই নকলনবীশ হিসেবে কর্মরত আছেন।
জেলা দুদক কার্যলয়ের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, অনিময়, দূর্নীতি, চেম্পারিং,জালিয়াতি ও ঘুষের বিনিময়ে দলিল রেজিস্ট্রির অভিযোগে জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ও সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান পরিচালনা করে বেশ কয়েকটি অনিয়ম পাওয়া যায়। এদের মধ্যে এখানে নকল নবীশরা অফিসে কর্মকর্তাদের মত একই ভাবে কাজ করছে যা নিয়ম বর্হিভূত। এছাড়া দুই জনের থেকে সন্দেহজনক ভাবে ৬৭ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।
What's Your Reaction?






