মঠবাড়িয়ায় হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে পটুয়াখালীর মহিপুরে মাছ ধরতে গিয়ে পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের শিকার হেলালের (২৪) খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিহত হেলাল তুষখালী ইউনিয়নের ছোটমাছুয়া গ্রামের হারুন হাওলাদারের ছেলে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে পাঁচ শতাধিক নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় আরিফ ফরাজী,আলী আকব্বর,ফিরোজ হোসেন,মোঃ শাহ আলম, কুদ্দুস শরীফ,নিহত হেলালের বোন শারমিন আক্তার, বাবা হারুন হাওলাদার ও মা শেফালী বেগম।
বক্তারা বলেন,মাছ ধরার জন্য ফিশিং বোটে যেতে দেরি হওয়ায় রাতভর নির্যাতন করে হেলালকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হেলালের ডাক চিৎকার শুনে কেউ যাতে উদ্ধার করতে না পারে সেজন্য বঙ্গোপসাগরের নির্জন জলরাশীতে গিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। বেহুশ হয়ে হুশ হওয়ার পর আবারও নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে দীর্ঘসময় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকলে সকাল ১০টার দিকে প্রথমে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও পরে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। এরপর হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে আসামীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর নিহত হেলালের মা বাদী হয়ে মহিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলার ৪ নং আসামী শুক্কুর গত ৮ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর মামলার প্রধান আসামী মন্টু ফরাজী সহ অন্য আসামীরা মামলার বাদী ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে।
মামলার প্রধান আসামী মন্টু ফরাজী মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট মাছুয়া গ্রামের (৫ নং ওয়ার্ড) আমির হোসেন ফরাজীর ছেলে।ঘটনার পর সে অন্য আসামীদের নিয়ে মহিপুর থেকে ফিশিং বোট চালিয়ে মোড়েলগঞ্জে এসে বোট ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মহিপুর থানা পুলিশ বোটটি জব্দ করেছে।
এ ব্যাপারে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহমুদ হাসান জানান, ঘটনাস্থল বিবেচনায় মহিপুর থানায় মামলা হলেও বাদী ও আসামীদের বাড়ি মঠবাড়িয়া এলাকায়। এক্ষেত্রে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলেও আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
What's Your Reaction?






