৩ মাস ধরে ইন্দুরকানী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পানির প্লান্টটি অচল, জনদুর্ভোগ সত্বেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পানির প্লান্টটি বিগত তিন মাস ধরে সম্পূর্ণরূপে অচল থাকলেও কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে এখন পর্যন্ত পানির প্লান্টটি চালু করা হচ্ছে না। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। রোগীদের ভোগান্তি সত্বেও এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে পানির শোধনাগারটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
জানা যায়, বিগত ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে পিরোজপুর জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় ২২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এ পানির প্লান্টটি স্থাপন করেছিল। হাসপাতালে ভর্তিকৃত ও চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ও আশেপাশের জনসাধারণের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে এ পানির প্লান্টটি স্থাপন করা হয় বলে জানা যায়।
চলতি বছরের ২৫ আগস্ট থেকে পানির প্লান্টটি পুরোপুরি অকেজো হয়ে পরায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ও ভর্তি রোগীদের ভোগান্তি চরম আকারে পৌঁছেছে। আর্থিকভাবে সচ্ছল রোগীরা দোকান থেকে বোতলজাত পানি সরবরাহ করতে পারলেও গরিব ও অসহায় রোগীরা সুপেয় পানির অভাবে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। ফলে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগসহ ও চিকিৎসায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগীরা বলেন, উপজেলা পর্যায়ে একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুপেয় পানির অভাব এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। বিগত তিন মাস ধরে পানির ফিল্টারটি বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না, এটা শুধু তাদের সদিচ্ছা ও অনীহার ফল।
এ বিষয়ে পানির প্লান্ট অপারেটর সুরঞ্জিত বলেন, উক্ত পানির প্লান্টটি থেকে আড়াই লক্ষ লিটার পানি সোধন করা হয়েছে। ফলে ফিল্টারের মেমব্রেজ নষ্ট হয়ে গেছে। পানি বিক্রি করে ১ লক্ষ টাকা ফান্ডে জমা করা হয়েছে,আরো টাকার ওভাবে এটা মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মতিউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। টিএইচও সাহেবকে বললে তিনি বিষয়টি বিস্তারিত জানাবেন।
জেলা উপ-সহকারী স্বাস্থ্ প্রকৌশলী মইনুল ইসলাম বলেন,তারা আমাদের কাছে চিঠি দিয়েছিল আমরা জানিয়েছি প্লান্টের মেমব্রেজ আমাদের রেটলিস্টে নেই। তাদের ফান্ডে পানি বিক্রয় টাকা ছিল সেখান থেকে মেমব্রেজ কিনে প্লানটি চালু করা সম্ভব ছিল এত সময় লাগার কথা নয়।
What's Your Reaction?
মোঃ নাজমুল হোসেন,জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুরঃ