যেখানে আলো পৌঁছায় না, সেখানে আশার ‘ছায়া’ দিচ্ছেন তরুণেরা

যখন অনেক তরুণ আত্মকেন্দ্রিকতায় ব্যস্ত, তখন মাগুরার মহম্মদপুরে একদল সচেতন যুবক জ্বালিয়ে দিয়েছেন আশার আলো। মানুষের বিপদে-আপদে শীতল ছায়া হয়ে পাশে দাঁড়াতে এবং জ্ঞানের আলোয় সমাজকে আলোকিত করতে তারা গড়ে তুলেছেন "ছায়া" নামের একটি ব্যতিক্রমী সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পাবলিক লাইব্রেরি। তাদের হাত ধরেই প্রত্যন্ত রাজাপুর বাজারে এখন মানবতার জয়গান আর জ্ঞানচর্চার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
"মানবতার সেবায় আলোকিত সমাজ গড়ি"—এই মূলমন্ত্রকে বুকে ধারণ করে চলতি বছরের শুরুতে সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে। রাজাপুর ইউনিয়নকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই সংগঠনের প্রাণভোমরা হলেন এর সভাপতি সবুজ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ফারুক রেজা এবং কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামসহ একঝাঁক উদ্যমী সদস্য। তাদের সম্মিলিত মেধা ও শ্রমে অল্প দিনেই সংগঠনটি এলাকার মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে 'ছায়া'র সভাপতি সবুজ মোল্লা বলেন, "আমাদের লক্ষ্য রাজাপুর ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন। আমরা অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি, রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করছি, দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রেও আমরা কাজ করছি। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সম্প্রতি মেধাবীদের পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে।"
তিনি আরও জানান, সংগঠনের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর একটি হলো 'ছায়া পাবলিক পাঠাগার' স্থাপন। এখানে এলাকার মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম বই ও পত্রিকা পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, "মানুষের সেবামূলক যেকোনো কাজে 'ছায়া' অতীতে যেমন ছিল, ভবিষ্যতেও তেমনই পাশে থাকবে।"
What's Your Reaction?






